
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর শেরশাহ রোডে অবস্থিত রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের অংশীদার মো. আতাউর রহমান (৪৭) রাজপাড়া থানায় ১৪ জন নামীয় ও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে মোট ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।তাদের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবাদীরা হলেন —১. মো. হুমায়ন খালেদ বি শিহাব (৩৭), ২. নূর হোসেন (২৫), ৩. মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান (৩০), ৪. মো. গোলাম মোস্তফা (৩০), ৫. মো. আলতাব হোসেন (৪০), ৬. মো. জাবের আলী (৩৪), ৭. ইয়াহিয়া খান (৫৫), ৮. মো. উজ্জল হোসেন (৩৮), ৯. মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩৮), ১০. মো. নেহাল (২৩), ১১. মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), ১২. হোসেন ওরফে কালো হোসেন (২৩), ১৩. মো. তাজ (২২), ১৪. মো. আব্দুল বারীক শাহ নয়ন (৩০) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে হাসপাতালে অনধিকার প্রবেশ করেন। এসময় হাসপাতালের এক পার্টনার মো. শামীম আহম্মেদ (৩২) বিবাদীদের তালা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন।
এ সময় বিবাদীরা হাসপাতালের ক্যাশ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা চুরি করে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া হাসপাতালের কর্মচারী মো. প্রাপ্ত (২৫)-কে মারধর করে তার মানিব্যাগে থাকা ১৫ হাজার টাকা এবং গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা) ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, ভবিষ্যতে হাসপাতালের কোনো শেয়ারহোল্ডার সেখানে গেলে তাকে “জানে মেরে ফেলা হবে।”
ঘটনার পর আহত শামীম আহম্মদকে সহকর্মী নাইম (৩২) ও সুমন (৩০) এর সহায়তায় অটোরিকশায় করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সাক্ষী হিসেবে এজাহারে নাম উল্লেখ করা হয়েছে —মো. মজিবুর রহমান (৫০), মো. হাফিজুর রহমান (৩৫) ও আরও অনেকে।
পার্টনারের চিকিৎসা ও আলোচনার কারণে কিছু বিলম্বে থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে আবেদনকারীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অভিযোগকারী আতাউর রহমান বলেন, “২০১৮ সালে মোট ৬৩ জন শেয়ারহোল্ডার মিলে ১০০টি শেয়ারের মাধ্যমে এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে চালু হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ২০২১ সালে চালু হয় হাসপাতাল ও এমআরআই সার্ভিস।শিহাব শুরু থেকেই এককভাবে আয়-ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং গত ৮ বছরে কোনো প্রকার হিসাব প্রদান করেননি।শেয়ারহোল্ডারদের অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে সমস্ত আর্থিক লেনদেন। এছাড়া, নিরীক্ষা (অডিট) সম্পন্ন করার জন্য বহুবার বলা হলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছেন বলে দাবি করেন তিনি।”
তিনি বলেন, হামলায় আমাদের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আইনগত সহায়তার জন্য আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”
									ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
                        
                        
                    
                    
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।